This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Sunday, July 11, 2021

এলার্জি থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়!

 


এলার্জির যন্ত্রণা ভুক্তভোগীরাই জানেন।  অনেকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে এটি।শুধু এলার্জির ভয়ে সুস্বাদু সব খাবার সামনে রেখেও খেতে পারেন না। যার কারণে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়। আর চুলকানির বিড়ম্বনা তো রয়েছেই।

চিংড়ি, গরুর মাংস, ইলিশ কিংবা গরুর দুধ খেলে শুরু হয় গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলো হলো আপনার এলার্জি থাকার লক্ষণ।  তবে এ থেকে মুক্তি পেতে অনুসরণ করুন ঘরোয়া উপায়টি। যা সারাজীবনের জন্য বিদায় জানাতে পারেন এলার্জিকে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক উপায়টি-

 ভালো করে  ১ কেজি নিম পাতা রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুঁড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়া এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না, যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর গোশত, চিংড়ি, কচু, কচুশাক, গরুর দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য খাবার খান। আর সমস্যা হবে না।

আপনার শিশুকে ছোট থেকেই সব ধরনের খাবার, ফল ও সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করান। পারলে গরুর দুধও খাওয়ান একেবারে ছোট থেকে। এর ফলে, খাদ্যজাত এলার্জির হাত থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবে সে।

Monday, September 30, 2019

কফি : জেনে নিন কফি পানের কিছু উপকারিতা ও ঝুঁকি

আড্ডা দেওয়ার সময়, ক্লান্তিবোধ থেকে মুক্তি পেতে কিংবা কাজের ফাঁকে ঘুম তাড়াতে চা বা কফি-র জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তত চার,পাঁচ বার চা বা কফি তো থাকবেই! অনেকেই আছেন যাঁরা তাঁদের দিনই শুরু করেন বেড টি বা কফি দিয়ে। তাই মানুষের মেজাজ পরিবর্তনে যে এগুলির ভূমিকা অন্যতম তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


বিশ্বব্যাপী অত্যধিক জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে 'কফি' হল অন্যতম। 'কফি বীজ' নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়। এই বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ থাকে। ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। কফির মূল উপাদান ক্যাফেইনের জন্য কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রিত পণ্য। কফির উপকারিতা : একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কফি লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যান্সার রোধ করে। এছাড়াও, আমাদের মানসিকভাবে সতেজ রাখে। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কফি পান করা হলে আমাদের কিছু শারীরিক সমস্যার কমতে পারে। ক) হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় 
খ) করোনারি অ্যাস্টিরি রোগের ঝুঁকি কমায় 
গ) ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায় 
ঘ) লিভার সেরোসিসের ঝুঁকি কমায় 
ঙ) ক্যান্সারের হওয়ার ঝুঁকি কমায় 
চ) ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায় 
ছ) কফি পান করলে সতেজ অনুভূতি হয়। কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে।
 
কফি পানের ঝুঁকি : সবকিছুরই যেমন ভালো দিক আছে তেমন আবার খারাপ দিকও আছে। কফি পানের উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু ঝুঁকিও দেখা যায়। যারা খুব বেশি কফি পান করেন তাদের ক্ষেত্রে কফি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, খালি পেটে কফি শরীরের পক্ষে মারাত্মক। বিশেষ করে ব্ল্যাক কফি ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়, সেগুলি হল - 
ক) খালিপেটে কফি খেলে বমি হতে পারে 
খ) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে 
গ) মাথাব্যাথা 
ঘ) ঘুমে ব্যাঘাত হয় 
ঙ) বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে 
চ) স্নায়বিকতা এবং উদ্বেগ 
ছ) অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা উচ্চ রক্ত চাপের আশঙ্কা বাড়ায় 
জ) হরমোন ক্ষরণে ব্যাঘাত ঘটায়

 

Saturday, September 21, 2019

ত্বকে লেবুর প্যাক ||| ঘরোয়া রূপচর্চা


‘পুকুরধারে লেবুর তলে
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে




থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে

ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই...।’

যতীন্দ্রমোহন বাগচীর ‘কাজলা দিদি’, মোহাম্মদ নাসির আলীর ‘লেবুমামার সপ্তকাণ্ড’, নিজের পাতে দুপুরের খিচুড়ির সঙ্গে টাটকা লেবু—লিখতে বসে সবই এল। লেবুর মোহনীয় ঘ্রাণে আকুল হওয়ার দৃশ্যটা বোধ করি বাঙালি পরিবারের খাবার টেবিলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। লেবুর ব্যবহার আছে রূপচর্চায়ও। জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞ মতামত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল বলেন, সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর সর্বোৎকৃষ্ট উপকার পেতে হলে লেবু খেতে হবে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে লেবুর অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। ফলে কোষের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া–বিক্রিয়ায় (কোষের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত) স্বাভাবিক নিয়মে যে ক্ষতি হওয়ার, তা অনেকটাই কম হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে। তবে লেবুর রসমিশ্রিত প্যাক ত্বকে ব্যবহারের পর কারও কারও ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে দেখা যায়, কারও কারও অ্যালার্জিজনিত সমস্যা ও প্রদাহ হতে পারে। তাই এ ধরনের প্যাক ব্যবহার করতে চাইলেও কিছু বিষয়ে সতর্কতা আবশ্যক।

ত্বক ও চুলের যত্নে লেবু উপকারী, জানালেন হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী। তিনি বললেন, মনে রাখতে হবে, লেবুর রস সাইট্রিক অ্যাসিড। তাই এর ব্যবহার না জেনে যেকোনো ধরনের ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করা উচিত নয়। হিতে বিপরীত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে। বলিরেখাও পড়তে পারে। ত্বকের ধরন বুঝে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর।

প্যাক হিসেবে পাতিলেবু ব্যবহার করাই ভালো। তবে এ লেবু সারা বছর পাওয়া যায় না। তাই অন্য লেবুও কাজে লাগাতে পারেন। আফরিন মৌসুমী জানালেন রূপচর্চায় লেবুর সঠিক ব্যবহার।

মুখের ত্বকে

তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময় কালচে ও মলিন দেখায়। ব্রণ হওয়ার প্রবণতাও থাকে। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের জন্য এই প্যাক।

গ্রেডারের সাহায্যে লেবুর খোসার সবুজ অংশটা কুচি করে নিতে পারেন। কুচি করা খোসা বেটে নিন (পেস্ট করুন)। ১ টেবিল চামচ লেবুর খোসার পেস্ট, ৩-৪ টি পুদিনাপাতা, ৬-৭টি তুলসীপাতা ও ২ চা-চামচ মুলতানি মাটি পেস্ট করুন (পানি ছাড়া)। পুরোটা মুখে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে।


স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বকের জন্য ১ চা-চামচ লেবুর রস, ১টি ডিমের কুসুম, ১ চা-চামচ মধু, ৬-৭ ফোঁটা জলপাই তেল ও ২ চা-চামচ গমের ময়দা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিন দিন ব্যবহার করুন। এই প্যাক ত্বক উজ্জ্বল করে এবং বলিরেখা দূর করে।

অতিসংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার করলে চুলকানি হতে পারে। অন্যান্য সমস্যাও দেখা যায়। তাই এই ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার না করে লেবু ব্যবহার করতে হবে একটু ভিন্নভাবে। লেবুর খোসার ভেতরের সাদা অংশ (সবুজ অংশ এবং লেবুর ভেতরের সাদা পর্দার মতো অংশ বাদ দিয়ে) পেস্ট করুন। ১টি লেবু থেকে কমবেশি ১ চা-চামচ পরিমাণ পেস্ট পাওয়া যায়। ১ চা-চামচ পরিমাণের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মুগডালের বেসন, কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল (ক্যাপসুলের ভেতরে থাকা তরল ওষুধ) মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।

প্যাক দিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। সপ্তাহে এক-দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। মুগডালের বেসন অতিসংবেদনশীল ত্বকের জন্য চমৎকার ক্লিনজার। অতিসংবেদনশীল ত্বকে অনেক সময় তৈলাক্ত ভাব ও বলিরেখা একই সঙ্গে দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা কমিয়ে আনতেও এই প্যাক উপকারী।
বডি স্ক্রাব, ক্লিনজার বা প্যাক হিসেবে ২টি লেবুর খোসা, আধা কাপ লেবুর রস (২টি লেবু থেকেই মোটামুটিভাবে এই পরিমাণ রস পাওয়া যায়), ৬ টেবিল চামচ সুজি, ৬ টেবিল চামচ হলুদের রস, ২টি ডিমের সাদা অংশ, ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল ও ৩ টেবিল চামচ বাদামি চিনির মিশ্রণ শরীরের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে এক দিন। ১০-১৫ মিনিট পর তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। ত্বকের মৃত কোষ সরে যাবে, ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, ত্বকের বিভিন্ন স্থানের রঙের অসামঞ্জস্য দূর হবে। যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্য এই স্ক্রাব কার্যকর। তবে হলুদের রস সরাসরি ব্যবহার করা ঠিক নয়। সরাসরি হলুদের রসের সঙ্গে লেবুর মিশ্রণ করা হলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই আগে হলুদ ছেঁচে রস বের করে নিয়ে ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এভাবে জ্বাল দিয়ে রাখা রস ফ্রিজে সাত দিন পর্যন্ত রেখে ব্যবহার করা যায়। ডিপ ফ্রিজে আরও বেশি দিন রাখা যায়। লেবুর খোসায় আছে এসেনশিয়াল তেল। বাদামি চিনির পরিবর্তে সাদা চিনি কাজে লাগাতে পারেন। তবে বাদামি চিনি বেশি ভালো।

চুলের যত্নে মাথার ত্বক তৈলাক্ত ও চুল শুষ্ক প্রকৃতির হলে, মাথার ত্বক খুব ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে, শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এতে চুল ঝরঝরে থাকে, মাথার ত্বক ও চুল ঘেমে স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে না, ঘামজনিত দুর্গন্ধও হয় না। এ উপকার পেতে বাইরে যাওয়ার আগে এভাবে শ্যাম্পু করে নেওয়া ভালো, প্রয়োজনে প্রতিদিনই করতে পারবেন। শ্যাম্পুতে রিঠার নির্যাস থাকলেও লেবুর রস দেওয়া যায়। তবে শ্যাম্পুতে প্রকৃতরূপে রিঠাই যদি থাকে, তাহলে আর লেবুর রস দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

তৈলাক্ত মাথার ত্বকে যদি খুশকি হয়, তাহলে ২ টেবিল চামচ মেথি, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় এ ধরনের চুলে খুশকি হয়, যা সহজে দেখা যায় না। মাথায় ফুসকুড়ির মতো গোটা হতে দেখা যায়, চুল পড়ে যেতে দেখা যায়। খুশকি বা এ রকম সমস্যা বেশি হলে সপ্তাহে দুই দিনও ব্যবহার করা যায়।

চুলের জন্য আরেকটি প্যাক—

২ টেবিল চামচ আমলকীর পাউডার, সমপরিমাণ মেথি পাউডার ও ১টি লেবুর খোসা (সবুজ অংশ) একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণকে চুলের ‘খাবার’ বলা হয়। অল্প পরিমাণ (এক থেকে দেড় টেবিল চামচ) জলপাই তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা (মাথার ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে চুলেও দেওয়া যায়)। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণ চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে।

সতর্কতা

অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল জানালেন, যে প্যাক ব্যবহার করতে চান, সেটি তৈরি করে কানের পেছনের ত্বকে খানিকটা লাগাতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া হলে সেই প্যাক তখনই পরিত্যাগ করবেন। কোনো সমস্যা না হলে প্যাকের জন্য প্রযোজ্য সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১৪ দিন পর আবার একই প্যাক একই নিয়মে একই জায়গায় একইভাবে ব্যবহার করুন। কোনো সমস্যা না হলে ৭-১৪ দিন পর পুনরাবৃত্তি করুন। এরপর কোনো সমস্যা না হলে ধরে নেওয়া যায় প্যাকটি আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। তাহলে পরদিন থেকে প্যাকটি ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো কোনো সমস্যা দেখা দিতে একটু বেশি সময় লাগে। তাই এই পদ্ধতি। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়ে কানের পেছনের ত্বকে কোনো ধরনের সমস্যা হলে অবস্থানগত কারণে সেটির চিকিৎসা করাতে হবে।

Friday, September 13, 2019

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ১৫টি বিউটি টিপস

১: আঙুর
অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের স্বাভাবিকতা কমে গিয়ে ত্বকের ফর্সা ভাব ও উজ্জলতা কালচে হতে থাকে। বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর এবং সূর্য 
রশ্নি দ্বারা ত্বকে কালচে ভাবের সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ত্বক ফর্সা করতে আঙুরের রস দারুণ উপকারি। কয়েকটি আঙুর

নিয়ে মুখে আলতোভাবে ঘষুন। আঙুর বেটে ফেসপ্যাক তৈরি করেও মুখে লাগাতে পারেন।
২: শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল
শশার রস। পরিমাণ মত শশার রসে মিশাতে হবে অল্প গ্লিসারিন আর গোলাপ জল
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নি ত্বক পুরিয়ে ফেলে। শসার রস, গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ রোদে পোড়া ত্বকের জন্যে উপকারি।
রোদে যাওয়ার আগে এবং বাসায় ফিরে এগুলি একসাথে মিশিয়ে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।
৩: চন্দন, হলুদ ও দুধ চন্দন 
বয়সের ছাপ, বিষন্নতা, অযত্ন, ত্বকে স্বাভাবিক আলো বাতাসের অভাবে, ত্বকের সতেজতা হ্রাস পায়।
চন্দন গুড়ার সাথে সামান্য হলুদ গুড়া ও দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ত্বক সতেজ আর সুন্দর করতে এই মিশ্রণটি বেশ কার্যকর।
৪: মধু ও দুধের সর
দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে নরম আর উজ্জ্বল। শীতকালে এই মিশ্রণটি আপনাকে ত্বক নিয়ে অনেকটাই নিরুদ্বেগ রাখবে।
৫: দুধ,লবণ ও লেবুর রস দুধ।
প্রাত্যহিক কাজ কর্মের বিভিন্ন সময় ত্বকের ভাজে ভাজে ধূলাবালি ও ময়লা লেগে বাহ্যিক ময়লা আবরনের স্তর লোমকূপের মাধ্যেম টিস্যু/কোষে জমা হয়।
ফলে ত্বকে অক্সিজেন প্রেবশ করেত পারে না। দুধের মধ্যে এক চিমটি লবণ আর লেবুর রস মেশান। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
৬: টমেটোর রস
বাহ্যিক ধূলাবালি, ময়লা, সূর্যের তাপ ও অবেহলার কারনে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃন ভাব কমে ত্বক রূক্ষ হয়ে যায়। ত্বক নরম করতে টমেটোর রস খুবই কার্যকরী।
টমেটোর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগালে ভালো ফল পাবেন।
৭: হলুদ গুড়া, গম ও তিল
অনেকের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্চিত বা অনাকাক্ষিত লোম থাকে। যা মুখের স্বাবাবিত সৌন্দর্য নষ্ট করে।
হলুদের গুড়া,গমের ময়দা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বককে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের হাত থেকে দূরে রাখবে।
৮: বাঁধাকপির রস ও মধু
একটা সময় সবারই বয়স বাড়তে থাকে, এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে বিভিন্ন বলিরেখার সৃষ্টি হয়।
বাঁধাকপির রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। বলিরেখা দূর করতে এই মিশ্রণ খুব উপকারী।
৯: গাজর
ত্বকে অক্সিজেন এর অভাব হলে উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। ত্বকে ময়লা জমলে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না।
গাজরের রস মুখে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। গাজরের রস নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বক সতেজ থাকবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।
১০: মধু ও দারুচিনি
খাদ্যভ্যাস, ময়লা-ধূলাবালি, দুশ্চিন্তা, মানুষিক চাপ, নিদ্রাহীনতা, ধূমপান, মাদক এবং অতিরিক্ত ঘুমের অষুধ সেবনে মুখে ব্রণ হয়।
তিন ভাগ মধু ও এক ভাগ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের উপর লাগান। সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি আপনার ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করবে।
১১: বাদাম ও লেবুর রস
শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে পর্যাপ্ত পরিমান প্রাকৃতিক বাতাস এর অভাব রয়েছে। এর ফলে ব্রন ও ব্ল্যাকহেড এর সৃষ্টি হয়। বাদামের তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান।
এই মিশ্রণটি ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড দূর করবে আর ত্বককে রাখবে সতেজ ও সুন্দর।
১২: আ্যলোভেরার রস
ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমান পানির অভাবে ত্বকের সজীবতা হ্রাস পায়। ত্বক সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পানি আবশ্যক। আ্যলোভেরার রস মুখে
লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। আ্যলোভেরার রস ত্বকের পানিস্বল্পতা দূর করে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে।
১৩: ঘি ও গ্লিসারিন
শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকের মসৃনতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারের ক্যামিক্যাল যুক্ত এবং বানিজ্যিক ভাবে
বিক্রিত প্যাকেট জাক দ্রব্য অনেকক্ষেত্রে বিপরীত প্রভাব ফেলে। ঘি ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার।
রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের বদলে এটি ব্যবহার করে দেখুন। তফাত নিজেই টের পাবেন।
মুলতানি মাটি, নিমপাতা, তুলসিপাতা, গোলাপ পাঁপড়ি এবং গোলাপ জলমুলতানি মাটি, গোলাপের পাঁপড়ি, নিম পাতার গুঁড়া, তুলসি পাতার গুঁড়া
সামান্য গোলাপ জল বা লেবু পাননির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকবে।
১৪: অ্যাপ্রিকট ও দই
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্বকের কোষে পানিশূন্যতা হলে ত্বক শুশ্ক হয়ে যায়। অ্যাপ্রিকট এবং দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বক সতেজ রাখে। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে এর সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। 

Wednesday, September 11, 2019

অদ্ভুৎ কিছু বিউটি টিপস

পারফিউম লাগানোর আগে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান বাড়ি থেকে বেরনোর সময় আমরা পারফিউম লাগিয়ে বেরলেও তার সুগন্ধ কিছুক্ষণ বাদেই হাওয়া হয়ে যায়।
তার ফলে বারবার পারফিউম লাগাতে হয়। কিন্তু সবার সামনে কা সবসময় সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে পারফিউম লাগানোর আগে পর্যাপ্ত পরিমানে গলায় ও হাতে
পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে তার উপর পারফিউম স্প্রে করুন। সুগন্ধ বেশিক্ষণ বজায় থাকবে। পাকাচুল রং করতে আইশ্যাডো কোনও অনুষ্ঠান থাকলে বাকি সব
তৈয়ারি আগে থেকে করে রাখলেও পাকা চুলে কলপ করার বিষয়টা শেষ মিনিটের জন্য ফেলে রাখি। আর যথারীতি তাড়াহুড়ো কলপ লাগানোর সময় না পাওয়া গেলে মাথায় হাত পড়ে।
যদি পাকা চুলের পরিমান কম হয়, তাহলে আইশ্যাডো দিয়েই সেদিনের মতো কাজ চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
কালো আইশ্যাডো আঙুলের সাহায্যে চুলের সাদা অংশে লাগিয়ে নিন। সেদিনকার মতো অন্তত আইশ্যাডোতে পাকা চুল ঢাকা যাবে।
নেলপালিশের পর ঠান্ডা জল নেলপালিশ লাগানোর পর যদি ঠান্ডা জলে হাত ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখেন তাহলে অপেক্ষাকৃত তাড়াতাড়ি নেলপালিশ শুকিয়ে যায়।
চোখের পাতা ঘন দেখাতে বেবি পাউডার অনেকের চোখের পাতা ঘন হয় না বলে মাসকারা লাগানোর পরও ফাঁকা ফাঁকা দেখায়।
সেক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে বেবি পাউডার। চোখের পাতায় মাসকার লাগানোর পর একটি ছোট বাটিতে বেবি পাউডার নিয়ে তাতে চোখের পাতা ডুবিয়ে নিন।
এরপর ৫-৬ মিনিট রেখে আরও ২ কোট মাসকারা লাগিয়ে নিন, দেখবেন চোখের পাতা ঘন লাগছে। লিপস্টিক তুলুন পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে অনেক সময় গাঢ়
রংয়ের লিপস্টিক পরার পর তা তুলতে যাওয়ার সময় শুধু তুলোয় কাজ হয় না। সেক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি সবচেয়ে উপকারি।
লিপস্টিকের উপরই পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। তারপর টিস্যু বা তুলো দিয়ে মুছে নিলে একেবারে সাফ হয়ে যাবে লিপস্টিক।
লিপস্টিকে পাউডার লাগান লিপস্টিক পরে সেজেগুজে বেরনোর সময় ভালই লাগে। কিন্তু মুশকিল হল লিপস্টিপ ঠোঁটে বেশিক্ষণ টেকে না।
যদি লিপস্টিপ লাগিয়ে তার উপর পাউডার পাফ করে আবার এক কোট লিপস্টিক লাগান তাহলে দেখবেন লিপস্টিক অনেকক্ষণ বেশি সময় ধরে ঠোঁটে থাকবে। 

Monday, September 9, 2019

প্রতিদিন রাতে অবশ্যই করনীয় কিছু টিপস

১. মেকআপ তুলে ফেলুন
রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ঘুমানোর উচিত। হাজারআলসেমি লাগলেও কখনই মেকআপ সহ ঘুমানো ঠিক নয়। কারণ মেকআপ সহজ ঘুমালে ত্বকে মেকআপের 
রাসায়নিক উপাদানগুলো ক্ষতির সৃষ্টি করে। ফলে ত্বক অনুজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়।
২. দুটি বালিশ ব্যবহার করুন
উঁচু বালিশের ঘুমানোর অভ্যাস করুন। উঁচু বালিশ না থাকলেও কমপক্ষে দুটি বালিশ মাথার নিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। উঁচু বালিশে ঘুমালে ঘুম থেকে ওঠার পরের চোখের নিচের ও মুখের ফোলা ভাব থাকে না।



৩. পিউরিফাইং মাস্ক লাগিয়ে নিন
ঘুমাতে যাওয়ার আগেই অবশ্যই ত্বকে কোনো ভালো মানের মাস্ক রাখা উচিত। মুখের দাগ কমানোর কিংবা উজ্বলতা বাড়ানোর জন্য কোনো
হারবাল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন ঘুমানোর আগে। অ্যালোভেরার রস ও ব্যবহার করতে পারেন মাস্ক হিসেবে। অ্যালোভেরার রস মুখে লাগিয়ে পুরো রাত রেখে দিলেও ভালো ফল পাবেন।
৪. হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন
সারাদিনের বার বার সাবান ব্যবহার এবং ধুলা ও ময়লায় হাত রুক্ষ হয়ে যায় এবং আমাদের নখ গুলো অসুন্দর হয়ে যায়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন।
এতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পড়ে হাত ও নখ গুলো থাকবে সুন্দর।
৫. সিল্কের তৈরি বালিশের কভার ব্যবহার করুন
সুতি কাপড়ের বালিশের কভার বেশ খসখসে যা চুলের কিউটিকলের জন্য ক্ষতিকর। তাই রাতে ঘুমানোর জন্য সিল্কের বালিশের কভার বানিয়ে নিন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৬. চুল বেঁধে ঘুমান
রাতে ঘুমানোর সময় আমাদের চুলের তেল, ময়লা ও নানান জীবাণুর কারণে ত্বকে ব্রণের আক্রমণ হতে পারে। ত্বক ব্রণের আক্রমণ থেকে বাঁচতে চাইলে চুল বেণি করে অথবা বেঁধে ঘুমিয়ে পড়ুন।
এতে চুলগুলোও যত্নে থাকবে এবং আপনার ত্বকও ভালো থাকবে।
৭. এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করুন
পরিবেশ দুষণ ও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয় প্রতিদিনই। আর তাই ত্বকের জন্য প্রয়োজন এক্সফলিয়েটর।
ঘুমানোর আগে প্রতিদিনই ভালো মানের এক্সফলিয়েটর দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৮. ৮ ঘণ্টা ঘুমান
সুন্দর ত্বকের জন্য চাই পরিমিত ঘুম। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন।
তাই সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৮ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করা প্রয়োজন।
৯. আই ক্রিম ব্যবহার করুন
বয়স যতই হোক চোখের নিচের ত্বকের যত্নে আই ক্রিম ব্যবহার করাটা জরুরি। নাহলে আপনার চোখ জোড়াকে বড্ড ক্লান্ত দেখাবে। 

খুবই দরকারি ৭টি বিউটি টিপস

চুলে আইশ্যাডো দেয়া কিংবা চোখের পাপড়িতে বেবি পাউডার দেয়া অদ্ভুত শোনাচ্ছে?
সমস্যায় পড়লে বা হাতের কাছে কিছু না থাকলে এসব অবাক করা সমাধনাই কাজে আসে। ছোট ছোট এসব টিপস জানা থাকলে


আপনার জীবন আরো সহজ হয়ে উঠবে। আসুন জেনে নেই কিছু অদ্ভুত বিউটি টিপস –
১. অনেক আগে চুলে কলপ দেওয়ার কারণে আবার বেরিয়ে পড়েছে পাকা চুল? অথচ সময় নেই চুলে রং দেবার।
বাইরে যাবার আগে পাকা চুলের অংশে আপনার চুলের রঙের আইস্যাডো ব্রাশ নিয়ে একটু আইশ্যাডো দিয়ে নিন, পাকাচুলের গোড়া হারিয়ে যাবে ।
২. চুল শুকাতে ড্রাই শিট ব্যবহার করুন। ভেজা চুলে হালকা করে ড্রাই শিট ঘসুন চুল শুকিয়ে যাবে।
৩. চোখের পাপড়িকে ঘন ও লম্বা করতে মাশকারা দেবার সময় প্রথমবার অল্প করে পাউডার দিয়ে নিন এরপর মাশকারা দিয়ে নিন।
৪. ম্যাট লিপ স্টিক কিংবা স্মাজ প্রুফ আইলাইনার তুলতে চান, একটু অলিভ অয়েল হাতে নিয়ে ঠোঁটে আর চোখের
পাতায় ম্যাসেজ করুন উঠে আসবে লিপস্টিক কিংবা আইলাইনার।
৫. টুথব্রাশে চারকোল নিয়ে ৩-৪ মিনিট দাঁত মাজুন এরপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আগের থেকে সাদা দেখাচ্ছে দাঁত।
৬. সেভিং ফোম শেষ হয়ে গেছে, কন্ডিশনার দিয়ে সেভ করে ফেলুন। সেভিং ফোমের মত কন্ডিশনার রেজারের স্ক্রাচ থেকে ত্বক বাঁচাবে।
৭. ঠোঁটের পুরনো চামড়া তুলতে একটা ব্রাশে ভেসলিন নিয়ে আস্তে আস্তে ঘসতে থাকুন, পুরনো চামড়া উঠে চলে আসবে। 

Thursday, August 6, 2015

চুলের যত্নে বিছু প্রাকিতিক উপাদান


চুল পড়া, চুল ভেঙ্গে যাওয়া, চুল ঠিকমতো বৃদ্ধি না পাওয়া সহ নানা সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। তাই চুল নিয়ে যেন আমাদের চিন্তার অন্ত নেই। এই চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের বিকল্প নেই। এটি যেমন নিরাপদ তেমনি কার্যকরী। আমাদের হাতের কাছেই এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা যেতে পারে। আজ তাই তেমনই কিছু প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী জিনিসের নাম এবং গুণাবলী নিয়ে লেখা হল।



ডিমঃ
চুল পড়া কমিয়ে চুলকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে ডিমের জুড়ি নেই। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একটি ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি সারা চুলে মাখিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়াও একটি সেদ্ধ ডিম প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন।

মেথিঃ
চুলের যত্নে মেথি হচ্ছে আরেকটি কার্যকরী উপাদান। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমিয়ে আনে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি চুলের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখে। এক চা চামচ মেথি গুঁড়া, ২ চা চামচ নারিকেলের দুধ একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ দিন লাগান।

আলুর রসঃ
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অনেকেই আলুর উপকারিতা সম্পর্কে জানি। এই আলুর রস চুলের বৃদ্ধিতেও সমানভাবে কার্যকরী। পরিমাণমতো আলুর রস নিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি চুল পড়া রোধ করতেও সাহায্য করে।

নারিকেলের দুধঃ
নারিকেলের দুধ হচ্ছে প্রোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটে সমৃদ্ধ একটি উপাদান। এটি চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে আপনাকে দিবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল, সুন্দর চুল। চুল পড়া, চুল ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে তাই ব্যবহার করতে পারেন নারিকেলের দুধ। নারিকেল কুড়িয়ে অল্প পানিতে ভিজিয়ে রেখে এরপর সেই নারিকেল চিপে এর রস বের করে নিন। স্ক্যাল্পে এবং চুলে নারিকেলের দুধ লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষ ভাব কমে গিয়ে চুল নরম এবং সুন্দর হবে।

জবা ফুলঃ
চুলের যত্নে এই ফুলের উপকারিতা লিখে শেষ করা যাবে না। চুলের বিভিন্ন পণ্যে তাই এই ফুলের ব্যবহার বেশ লক্ষণীয়। চুলের খুশকি রোধ করা থেকে শুরু করে চুলের বৃদ্ধিতে, নতুন চুল গজাতে এবং অকালে চুল পাকা রোধ করতে এই ফুলের জুড়ি নেই। একটি জবা ফুল বেটে পরিমাণ মতো নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। মুহূর্তের মধ্যেই চুল হয়ে উঠবে নরম, কোমল এবং সিল্কি।

আপেল সাইডার ভিনেগারঃ
এই ভিনেগার স্ক্যাল্প ভালো মতো পরিষ্কার করে এবং চুলের PH ব্যালান্স ঠিক রাখে যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। চুল শ্যাম্পু করে ধোয়ার সময় পানির সাথে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে শেষে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল থাকবে এবং চুল ঠিকমতো বেড়ে উঠবে।

গ্রিন টিঃ
গ্রিন টি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট যা চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। গ্রিন টি স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা রাখুন এবং এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও নিয়মিত গ্রিন টি পানের মাধ্যমে চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

চুল ঝরে পরছে, কী করি?


সুস্থ,সুন্দর ও ঝলমলে চুল প্রত্যেক নারীর স্বপ্ন কিন্ত এই চুল ঝরতে শুরু করলে এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নে য়।এই চুল পড়ে যাওয়া, ঝরে বা কমে যাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও কিছুটা প্রভাব ফেলে। চুল পড়লে ব্যথা লাগে না ঠিকই কিন্তু মন ভেঙ্গে যায়। অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকলে তা বিড়ম্বনাও সৃষ্টি করে। ছেলেদের ক্ষেত্রে অল্প বয়সে মাথায় টাক পড়া জাতীয় সমস্যা দেখা যায়। বিউটি এক্সপার্টদের মতে প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। এর বেশি হলেই সেটি চুল ঝরে পড়া সমস্যা বলে চিহ্নিত হবে।



কেন চুল পড়ে?

বেশ কিছু কারণে চুল ঝরতে পারে,যেমনঃ চুলে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি(রঙ বা ট্রিটমেন্ট)করতে নানা রকমের রাসায়নিক উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার, অপর্যাপ্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, হরমোনের(থাইরয়েড)ভারসাম্যহীনতা, অতিরিক্ত ঔষধ গ্রহণ, খুশকি ও চর্মরোগ জাতীয় সমস্যা ইত্যাদি। অনেক সময় দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপও চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

চুল ঝরে পড়া কমানোর উপায়ঃ

১। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য মোটা ও প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। তাতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। এরপর স্বাভাবিক চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল সাজানোর বা বাঁধার কাজ করতে পারেন।

২। ভেজা চুল আঁচড়ানো বন্ধ করুন। চুল ভেজা থাকা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে, ফলে চিরুনি করলে চুল বেশি ওঠে বা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। চুল শুকিয়ে গেলে বা অল্প ভেজা থাকা অবস্থায় চিরুনি করুন।

৩।অনেকেরই ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করার অভ্যাস থাকে। আসবাবপত্র ঝাড়পোছের মত তোয়ালে দিয়ে চুলে বাড়ি দেয়ারও প্রবণতা থাকে। এমন অভ্যাসে চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এসকল বদভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

৪। নিয়মিত আপনার চিরুনি পরিষ্কার করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে চিরুনি দ্রুত ময়লা হয়। কাজেই সবান, পানি ও ব্রাশের সাহায্যে এটি পরিষ্কার করে নিন। অপরিচ্ছন্ন চিরুনি ব্যবহার ও চুল ঝরার একটি কারণ। প্রতিদিন গোসলের সময় বা শ্যাম্পু করার সময় খুব সহজেই এটি পরিষ্কার করা যায়।

৫। চুল পড়া কমানোর একটি সহজ ও কার্যকরী উপায় হলো চুলের গোড়ায় উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করা। সুপ্রাচীন কাল থেকেই উপমহাদেশে চুলের যত্নে তেল ব্যবহার করা একটি স্বাভাবিক ও সাধারন ব্যাপার। নারিকেল, জলপাই, বাদাম, সরিষা প্রভৃতি তেল, চুলের যত্নে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত চুলের গোড়ায় উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করলে ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, ত্বকের মৃত কোষ ও খুশকি দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। তেল হালকা গরম করে আঙ্গুলের বা কটন বলের সাহায্যে পুরো মাথায় চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। কয়েক ঘণ্টা অথবা পুরো রাত অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে তেল দেয়া অবস্থায় বাড়ির বাইরে না যাওয়ায় ভালো, কারণ তেল ধূলা, ময়লা বেশি আকর্ষন করে। এতে করে চুলে খুশকির উপদ্রব হতে পারে, তাতে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে।

৬। যে সকল শ্যাম্পুতে সালফেট, সিলিকন বা প্যারাবেন জাতীয় রাসায়নিক উপাদান আছে,সেগুলো বর্জন করুন। এই ধরণের উপাদান মাথার ত্বকের ক্ষতি করে, চুলকে রুক্ষ, শুষ্ক ও মলিন করে ফেলে। চুল ভঙ্গুর ও নিষ্প্রান হয়ে যায়, ফলে চুল ঝরে পড়া ত্বরান্বিত হয়।

৭। কমপক্ষে তিন দিন পর পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, তা না হলে ত্বকে ধুলা, ময়লা, তেল জমে ও জীবাণু জন্মাতে পারে, খুশকি হতে পারে। মাথার ত্বক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

চুল ঝরে পড়া বন্ধে চুলের যত্নঃ

১। চুলের যত্নে অতিরিক্ত হেয়ার ট্রিটমেন্ট ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার বন্ধ করুন। চুলের রঙ ঘন ঘন পরিবর্তন করা, চুলে আয়রন করা, ব্লো ডাই ইত্যাদির ফলে চুল বেশি ঝরে।

২। একটি কুসংস্কার..

Wednesday, August 5, 2015

চুলের যত্নে সঠিক চিরুনি


আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহৃত চিরুনিটিই কিন্তু হতে পারে আপনার চুলের ক্ষতির কারণ। তাই বিভিন্ন প্রকার চিরুনির কিছু সাধারণ তথ্য জেনে নেয়া যাক।


চিরুনির প্রকারভেদঃ
১) প্যাডল ব্রাশঃ
এটি একটি আয়তাকার হেড-ব্রাশ/চিরুনি যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে । এই ব্রাশটি মাঝারি থেকে লম্বা চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং চুলের জট ছাড়াতে কার্যকর।

২) পিন ব্রাশঃ
এটি ধাতব পিন যুক্ত ডিম্বাকৃতির চিরুনি। ধাতব পিনগুলো ঘন চুলের ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। এই চিরুনিটি ঘন ও কার্লি চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো।

৩) কুইল ব্রাশঃ
এই চিরুনিটি ডিম্বাকৃতির বা গোলাকৃতির যেটি কিনা মাথার ত্বক ম্যাসেজ করে এবং চুলের ন্যাচারাল অয়েল মাথায় ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এই চিরুনিটি সব ধরনের চুলের জন্য উপযুক্ত।

​৪) Wide-tooth comb বা চওড়া-দাঁতযুক্ত চিরুনিঃ
নামেই বোঝা যাচ্ছে, এই চিরুনিটির দাঁতগুলো ফাঁকা ফাঁকা যা চুলের জট ছাড়ায় এবং চুল ধোয়ার সময় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পুরো মাথায় ছড়িয়ে দিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সব ধরনের চুলের জন্য, বিশেষত জট ছাড়াতে কার্যকর।

৫) Boar bristle brush / বোর ব্রিস্‌ল ব্রাশঃ
এই ব্রাশটি ভিন্ন আকৃতির হতে পারে। মূলত এর ব্রিস্‌ল গুলোই অন্যান্য চিরুনি থেকে এটিকে আলাদা করে। ব্রিস্‌লগুলোচুলের জন্য উপকারীও বটে। কেননা , ব্রিস্‌ল সফ্ট হওয়ায় চুল ছিড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। এটি হেয়ার স্টাইলিং এ ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও স্ক্যাল্পের সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে। রুক্ষ চুলের জন্যও এই চিরুনিটি ভালো কাজ করে কারণ এটি চুলের ন্যাচারাল অয়েল চুলের আগা পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে চুলকে কোমল, উজ্জ্বল করে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৬) এছাড়াও শুধুমাত্র প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য রয়েছে নরমাল কিছু চিরুনি যেগুলো অনেক আকারের পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহারে চুল দেখায় কোমল ও মসৃণ।

​চুলের প্রয়োজন বুঝে বেছে নিন সঠিক ও কার্যকর চিরুনি এবং কেনার আগে অবশ্যই চিরুনির গঠন উপাদান দেখে কিনুন।

চুলের রং নষ্ট হওয়ার কারন ও তার প্রতিকার


আপনার কালো চুল কি দিনে দিনে খয়েরি বা লাল হয়ে যাচ্ছে ? তাহলে এবার সাবধান হবার সময় এসে গেছে। এই সমস্যাটা আজকাল অনেকের মধ্যেই খুব দেখা যাচ্ছে। মনে রাখবেন যদি আপনার চুলের প্রাকৃতিক রঙ কালো হয় তবে চুল আপনা থেকেই লাল হয়ে যাওয়া সাধারণ ঘটনা নয়।



কী কী কারণে চুল লাল হতে থাকে?

১) চুলের ড্যামেজ বা অপুষ্টির কারণে চুল কালো থেকে লাল হয়ে যায়। সূর্যের রশ্মির ক্ষতিকর UV ray আমাদের চুলের ড্যামেজ করে আর চুল লাল করার জন্য একটা বিশেষ কারণ।

২) যে পানি আপনি ব্যবহার করছেন সেটাও একটা বিশেষ কারণ হতে পারে। পানিতে ক্লোরিন বা আইরন থাকলে চুলের ভালো রকমের ক্ষতি করে।

৩) আপনি যে প্রোডাক্ট চুলে লাগান তাতে যদি পেরক্সাইড থাকে সেটা চুলের ভীষণ ক্ষতি করে।

৪) চুলে ভীষণ গরম কিছু লাগালে যেমন হেয়ার স্ট্রেটনার অথবা হেয়ার কার্লার এইসব বেশি ব্যবহার করলে চুল বাদামি রঙের হতে থাকে।

৫) চুলে অনেক বেশি পরিমানে আর ঘন ঘন মধু লাগালেও চুল তার স্বাভাবিক রঙ হারিয়ে ফেলে।

প্রতিকারঃ

সমস্যা যখন আছে তার প্রতিকারও আছে। কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই কিন্তু সমস্যা এড়ানো যাবে। তাহলে দেখে নেয়া যাক এর প্রতিকারগুলো –

১) রোদে বের হওয়ার আগে আর গোসলের পরে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে লিভ-অন কন্ডিশনার বা হেয়ার সেরাম। এটা চুলকে রোদ আর পলিউশনের হাত থেকে আপনার চুলকে বাঁচাবে।

২) যদি সারাদিন বা অনেক সময়ের জন্য রোদে বের হতে হয় তাহলে মাথাটা একটা স্কার্ফ দিয়ে বা ওড়না দিয়ে ভালো করে ঢেকে নিতে হবে। আপনি ব্যবহার করতে পারেন ফ্লোরাল স্কার্ফ এতে আপনাকে দারুন স্টাইলিশ দেখাবে আর আপনি সবার মধ্যমনি হয়ে উঠবেন। একেই বোধ হয় বলে রথ দেখা আর কলা বেচা মানে স্টাইল আর স্বাস্থ্য দুটোই একসাথে।

৩) চুলের জন্য কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে হারবাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।

৪) ভেজা চুলে রাস্তায় বের হবেন না। এতে বাইরের ধুলো ময়লা সব চুলে আটকে থাকবে আর এর ফলে চুল রুক্ষ আর ফ্রিজি হয়ে যাবে। তাই বাইরে বের হবার আগে চুল শুকিয়ে বের হতে হবে। তাই বলে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানো উচিত নয়।চুল শুকানোর জন্য সেরাম লাগিয়ে নিয়ে মাঝে মাঝে মোটা চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে এতে চুল শুকিয়ে যাবে।

৫) সান ড্যামেজের হাতে থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই আছেন যারা ছাতা ব্যবহার করেন না কিন্তু আমাদের দেশের এরকম আবহাওয়াতে ছাতা ব্যবহার অতি আবশ্যক।

৬) এটা বলার দরকার রাখে না কিন্তু হেলদি ডায়েট অবশ্যই বজায় রাখতে হবে আর প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে।

হোম রেমেডিঃ

১) শ্যাম্পুর সাথে একটু কোকো মিশিয়ে নিয়ে লাগানো যেতে পারে। চুল ধোওয়ার জন্য সয়া সস আর অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে এই মিশ্রণটা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

২) সপ্তাহে একদিন করে প্রোটিনরিচ হেয়ার মাস্ক লাগাতে হবে। এর জন্য একটা ডিম ফেটিয়ে নিয়ে এর সাথে এক কাপ টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবারে এই মিশ্রণটাকে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এবারে শ্যাম্পু করার আগে এটা লাগিয়ে নিন ও কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

পানি যখন ক্ষার, কি হবে প্রতিকার?


সাজগোজ নিয়ে তো সবসময় বলা হয় তবে আজকে বলব এমন একটি ব্যাপারে যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই সময়োপযোগী এবং যা সম্পর্কে সবারই সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।


পানির অপর নাম জীবন একথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। তবে সেই পানিই যদি হয় সমস্যার কারণ তবে পানি নামক সেই জীবন যেন দুর্ভোগ ভোগান্তি ডেকে আনে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের সর্বত্র ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গেলেও এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ সুপেয় পানি পৌঁছতে পারেনি। যদিওবা কিছু কিছু অঞ্চলে ওয়াসার পানি আসে, গ্রীষ্মকালে নানাবিধ কারণে সেই পানি হয়ে ওঠে ব্যবহারের অযোগ্য। লেখকের জানা মতে ব্যবহারযোগ্য বিশুদ্ধ পানির সংকটে খিলগাঁও, সবুজবাগ, মগবাজার, যাত্রাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ ও মালিবাগ এর বিভিন্ন এলাকা রয়েছে। রাজধানী ছাড়াও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষারীয় পানি ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়। তাই অনেকটা নিরুপায় হয়েই টিউবওয়েল বা আলাদা পানির মোটর বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করতে হয়। কোন কোন অঞ্চলের পানিতে থাকে অতিরিক্ত পরিমানে ক্ষার, কোথাও পানি হয় বেশ লবণাক্ত। যা ব্যবহার করাটা একদিকে যেমন স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণ, তেমনি লম্বা সময়ের জন্য এরকম পানির ব্যবহার ত্বক ও চুলের ক্ষতির অন্যতম কারণ।কীভাবে বুঝবেন আপনার পানি ক্ষার?

যদিও কিছু এলাকার পানি স্বভাবতই ক্ষারীয় হয়, তবুও দেখে নিনঃ

-পানি ধারণ করার পর যখন পানির পাত্রের নিচে লালচে হলুদ আয়রন জমে থাকবে

-পানির স্বাদ বেশ ক্ষারীয় হবে

-কলের মুখে আয়রনের স্থায়ী দাগ বসে যাবে

-পানিতে খনিজ পদার্থের তীব্র একটা গন্ধ থাকবে

-পানি ফুটানোর হাঁড়ির তলায় আলাদা পুরু একটা স্তর পড়ে যাবে

-পানির জন্য ফিল্টার ব্যবহার করলে ফিল্টার এর সাদা অংশ খুব দ্রুতই লালচে হবে

খেয়াল করবেন যখন গৃহস্থালির কাজ যেমন কাপর কাঁচা বাসন মাজা ও অন্যান্য ধোয়া মোছার সময় প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সাবানের প্রয়োজন হবে।

ব্যবহারের জন্য সব ক্ষার পানিই যে সবসময় ক্ষতিকারক, এমনটি নয়। যাদের পানি মাত্রাতিরিক্ত ক্ষারীয়, তারা অবশ্যই পানি কে ব্যবহার উপযোগী করে ব্যবহার করবেন।

খাবার পানির ক্ষেত্রেঃ

সেই পুরনো বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। পানি ফুটিয়ে পান করা। তবে অতিরিক্ত ক্ষার পানির ক্ষেত্রে পানি ফুটিয়ে, ঠাণ্ডা করে তারও বেশ কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় তলায় দ্রবণীয় খনিজ জাতীয় পদার্থ জমে থাকতে। এমনকি পানির উপরেও ভেসে থাকতে দেখা যায়। সাবধানতার সাথে উপরের অন্তত ২ ইঞ্চি পানি ফেলে নিচের অংশে থিতিয়ে থাকা খনিজ গুলো রেখে বাকি পানি খাবার জন্য ব্যবহার করতে হবে।

যে কল থেকে খাবার পানি সংরক্ষণ করা হবে, সেই কলের মুখে ফিল্টার ক্যাপ বসিয়ে আপনি আয়রন বা ক্ষারীয় অন্যান্য খনিজ অনেকাংশেই আটকাতে পারবেন। পরে সেই পানি ফুটিয়ে যথাসাধ্য নিরাপদ করে পান করতে হবে।

*ক্ষারীয় পানিকে সাধারণ পানিতে পরিণত করার জন্য বর্তমানে অনেক নিত্য নতুন মেশিন আবিষ্কৃত হয়েছে, যার ২-১ টা স্যানিটারি ফিটিংসের দোকানে খোঁজ করলে আমাদের দেশেও হয়ত পাওয়া যাবে। কিন্তু সেগুলোর ব্যবহার যেমন ঝামেলাপূর্ণ, তেমনি সময়সাপেক্ষ আর ব্যায়বহুলও বটে। তাই আমি যতটা সম্ভব কম সময় ও ঝামেলাবিহীন পদ্ধতি উল্লেখ করলাম।

চুলের ক্ষেত্রেঃ

ক্ষার পানি ব্যবহার এর কারণে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, নিষ্প্রাণ, এমনকি অনেকের চুল পড়ার সমস্যাও বেড়ে যায়। চুল ধোয়ার কাজে এই পানি ব্যবহার করা হয় বলে পানিতে থাকা ক্ষারীয় পদার্থ চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও ঔজ্জ্বল্য কেড়ে নেয়। এ থেকে রক্ষা পেতে যা যা করতে পারেন-

গোসলের সময় শাওয়ার ব্যবহারকারীরা শাওয়ার এর মুখে ফিল্টার ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। বড় হার্ডওয়্যার এর দোকানগুলোতে শাওয়ার ফিল্টার পাওয়া যায়। এতে করে আপনি একইসাথে ত্বক ও চুলকে ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা হলেও..

চুলের রুক্ষতা দূরীকরণের কিছু সহজ উপায়


নারীর সৌন্দর্য বর্ধনে চুলের ভূমিকার কোন তুলনা হয় না। যেকোনো নারীকে খুব সহজেই রূপবতী করে তুলতে পারে তার ঝলমলে রেশমি চুল আর এই চুলই যখন রুক্ষ হয়ে পড়ে তখন লাবণ্যময়ী একটি চেহারাতেও এনে দেয় মলিনতার ছাপ। আমাদের বর্তমান যান্ত্রিক জীবনে চুল রুক্ষ হওয়ার অনেক কারণ আছে। চুল রুক্ষ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ ধূলোবালি। আজকালের আত্মনির্ভরশীল মেয়েরা বিভিন্ন কাজের তাগিদে ঘরের বাইরে পা বাড়ায়।



এতে চুলে ধূলোবালি লাগে। এছাড়া অনেক সময় তাড়াতাড়ি বের হওয়ার জন্য ভেজা চুলকে শুকানোর জন্য আমরা ব্লো ড্রাই করি। এতেও চুল রুক্ষ হয়ে উঠে। এছাড়াও রিবনডিং, হেয়ার কালার এসবের জন্যও চুল ধীরে ধীরে তার মসৃণতা হারায় আর রুক্ষ হয়ে যায়। রুক্ষ চুলের আগা খুব সহজেই ফেটে যায় যা চুলের বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়। তাই আসুন জেনে নিই খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু সহজ উপায়।

০১. চুল বা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হল পানি। প্রচুর পরিমাণে পানি আমাদের শরীরকে যেমন সতেজ রাখে তেমনি আমাদের চুলকেও রাখে সতেজ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

০২. চুলের রুক্ষতা দূরীকরণে তেলের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। অলিভ অয়েল অথবা রেড়ির তেল (ক্যাস্টর অয়েল) যেকোনো তেলই চুলকে মসৃণ করে তোলে। যেকোনো তেল রাতে ঘুমানোর আগে দিয়ে সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে ফেলা সবচেয়ে উত্তম। তবে যাদের তেল বেশিক্ষণ রাখতে সমস্যা তারা গোসলের ১ ঘণ্টা আগে তেলটি হালকা কুসুম গরম করে নিয়ে কিছুক্ষন মাসাজ করে নিতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। যেকোনো প্রকার তেলের মধ্যে চুলের রুক্ষতার জন্য অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো। চুলকে কোমল ও লাবণ্যময়ী করে তোলে।

০৩. যাদের চুল রুক্ষ আর সাথে খুশকিও আছে তারা হালকা কুসুম গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন আর শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ১/২ মগ পানিতে সাদা ভিনেগার মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে চুল ঝরঝরে হয় আর চুল খুশকি মুক্তও হয়।

০৪. চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে ও রুক্ষতা দূর করতে মেয়নেজও ব্যবহার করতে পারেন। ১/২ কাপ মেয়নেজ নিয়ে হালকা গরম করে মাথায় ৪০-৪৫ মিনিট রাখুন। এতে চুলের রুক্ষ ভাব চলে যায় আর চুল অনেক সিল্কি হয়ে উঠবে।

০৫. চুলের রুক্ষতার জন্য মেহেদি প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। সেগুলোর প্যাক বানিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেললেও চুল অনেক কোমল ও ঝরঝরে হয়ে উঠে।

০৬. তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকে কোমল, নমনীয় ও ঝলমলে করার একটি অন্যতম উপায় হল- ১টি পাকা কলা, ১টি ডিম, ২-৩ চা চামচ টক দই, ২-৩ চা চামচ মধু, ১টি লেবুর সম্পূর্ণ রস সবকিছু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সেটি মাথায় ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। মিশ্রণটি দেওয়ার আগে চুলে ভালো করে তেল মাসাজ করে নিতে হবে। এতে করে প্যাকটি খুব সহজে চুলে বসবে। অনেক সময় অনেকের চুলে মধু স্যুট করে না। সেক্ষেত্রে তারা মধু পরিহার করতে পারেন। এই প্যাকটি ১ ঘণ্টা রেখে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে খুব ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এতে চুলের গোড়া যেমন মজবুত হয় তেমনি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষতাও দূর হয়ে যায়। এই প্যাকটি মাসে অন্তত ২বার ব্যবহার করতে হবে। আশা করি আমার লেখাটি আপনাদের সবার উপকারে আসবে। ভালো থাকুন এবং হাসি-খুশি থাকুন।

চুল পড়া রোধে করণীয়


নারীর রূপ ও লাবণ্যের বর্ণনায় যার কথা না বললেই নয়, তা হলো ঝলমল ঘন কালো চুল। তবে চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে কিছু পরিচর্যাও করতে হয় বটে। আর এই গ্রীষ্মে পরিচর্যার মাত্রা যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়।



চুলের ঝরে পড়া ও রুক্ষতাকে চুলের প্রধান দুটি সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তাই চুলের ঝরে পড়া রোধে করণীয় কী কী তা জেনে নিই।

১। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা চাই প্রচুর শাক-সবজি ও মৌসুমি ফল আর আমিষের মধ্যে দুধ, ডিম, মাছ তো থাকছেই।

২। ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণের। এছাড়া চুল পড়া রোধে মেডিটেশনও করা যেতে পারে।

৩। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে। তবে শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই তেল দিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। নাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।

৪। সপ্তাহে এক দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন আর সাথে লেবুর রস দিতে পারলে আরও ভালো।

৫। শ্যাম্পু করার পর খুব ভালো করে বেশি করে পানি ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিতে হবে যেন গোড়ায় শ্যাম্পু না থেকে যায়। শ্যাম্পু করার পর কনডিশনার এমন ভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন গোড়ায় না যায়।

৬। ঘন ঘন ব্লো ড্রাই বা হেয়ার স্ত্রেইট করা থেকে বিরত থাকুন।

৭। এছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজেই বিশেষ তেল তৈরি করে নিতে পারেন। শুকনো আমলকী, বহেরা, হরিতকী ও মেথির গুণাগুণ আমরা সকলেই জানি। আমলকী,বহেরা,হরিতকী ও মেথি একসাথে গুঁড়ো করে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। তেলের মিশ্রণটি একটি কাঁচের বোতলে রেখে তা এক সপ্তাহ রোদে দিতে হবে। এরপর প্রতি সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন রাতে তেলটি গরম করে মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করে সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। যদি ত্বক তৈলাক্ত হয় অথবা ব্রণের সমস্যা থাকে তবে রাতে তেল না দেওয়াই ভালো। তেল মাথায় দিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

আমলকী, বহেরা, হরিতকী চুল পড়া রোধ করে এবং মেথি চুলের কোমলতা বজায় রাখে। এই গুঁড়ো মিশ্রণটি একবার বানিয়ে প্রায় ছয় মাস সংরক্ষণ করা যায়।

চুল ছোট বা বড় যেমনই হোক না কেন, তার যত্নে কোন কমতি রাখা চলবে না। তবেই চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে আর আকর্ষণীয়।

আসুন জেনে নেই মেয়েদের রুপ চর্চার বিষয় গুলো


প্রতিদিনের ব্যস্ততার ফাঁকে আমরা নিয়মিত রূপচর্চা করার কথা মনেই রাখি না। অথচ আমাদের স্বাভাবিক জীবন ,সংসার, অফিস এগুলোর পাশাপাশি রূপচর্চাও সমান জরুরী। সৌন্দর্য শুধু অন্যকে দেখানর জন্য নয়, নিজের পার্সোনালিটি ফুটিয়ে তুলতে অনেক বড় অবদান রাখে। কোন পরিবেশে নিজের গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে মেধা ও যোগ্যতার সাথে সাথে নিজের সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা অনেক অবদান রাখে।

এখন আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চমকে ওঠা বা বিষণ্ন হওয়ার কিছু নেই। মেয়েদের বা ছেলেদের আর সৌন্দর্য, ফিগার বা চেহারার গুরুত্ব নিয়ে ভাবার দরকার নেই-এ ধারণাও আজ সেকেলে হয়ে গেছে। বরং ভাবুন, রূপচর্চার ফলে ফুটে উঠা সৌন্দর্য আপনার জীবনকে আরও সুন্দর, পরিপূর্ণ এবং উজ্জ্বল করে তুলবে। মোট কথা শরীরের যত্ন নিতে হবে, থাকতে হবে সুস্থ ও সুন্দর।

আসুন জেনে নেই মেয়েদের রুপ চর্চার বিষয় গুলো

জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা অসাধারণ টিপস

 

আপনি যদি মহিলা হন তাহলে রূপচর্চার কথা ভুলে যেতে পারেন না। কারণ নারী ব্যক্তিত্ব মানেই সৌন্দর্য। আজকাল দিনের নারীরা নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সর্বত্র রেডি। শুধু নারীর কথা বললে ভুল হবে এ যুগে পুরুষরাও কোনও অংশে কম না। বলা বাহুল্য তারাও নিজেদের সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পিছিয়ে নেই।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা

সুন্দর ত্বক ও চুল সবারই আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু সুন্দর ত্বক ও চুল পাবেন কি করে? নিশ্চয়ই ভাবছেন না পার্লার বা সৌন্দর্যচর্চার প্রোডাক্ট রয়েছে তো। এইসব কেমিক্যাল প্রোডাক্টের কথা বাদ দিয়ে একটু প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভরসা রাখুন। কারণ কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টে শুধু একগুচ্ছ টাকাই খরচ হবে না বরং ত্বকের হবে মারাত্মক ক্ষতি। প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক উপাদানের কদর সর্বত্রই। এর কোনও সাইড এফেক্টও নেই। কিন্তু কীভাবে করবেন প্রাকৃতিক উপাদানে রূপচর্চা ভাবছেন তো। আসুন তাহলে জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা কিছু অসাধারণ টিপস।



1. অ্যাভোকাডো ও ওটমিলের ফেস প্যাকঃ রূপচর্চায় অ্যাভোকাডো একটি সর্বোত্তম উপাদান। অ্যাভোকাডো উপাদানটি ভিটামিন “সি” এবং ভিটামিন “বি”, ফাইবার, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা ত্বক গ্লোয়িং করে তোলে। এই উপাদানগুলি ড্রাই ত্বক ময়শ্চারাইজার করে রাখে। টোটকাঃ-

হাফ কাপ অ্যাভোকাডো, ২ টেবিল চামচ মধু এবং হাফ কাপ ওটমিল নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন ( আপনি চাইলে আপেল সাইডার ভিনিগারও মেশাতে পারেন )। এবার প্যাকটি পুরো মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন।

2. হলুদের ফেস প্যাকঃ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা হলুদের জুরি নেই। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের ক্ষতিকারক রেডিকেলস অপসারণে সক্ষম। এটি ত্বক পরিষ্কারই রাখে না বরং ত্বক ফর্সা করে তোলে। টোটকাঃ-
২ টেবিল চামচ হলুদ এবং ৪ টেবিল চামচ আটার দানা নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন ( আপনি চাইলে একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারেন )। এবার এই মিশ্রণটি পুরো মুখে এবং গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্যাকটি শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসতে বাধ্য।

3. গ্লোয়িং ত্বকের জন্য অ্যালোভেরাঃ- ত্বকের সব সমস্যার মুশকিল আসান হল অ্যালোভেরা। এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে এবং প্রাকৃতিক গ্লো দেয়। টোটকাঃ

১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা রস, ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু এবং এক চিমটে হলুদ একসঙ্গে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর হালকা উষ্ণ গরম জলে পরিষ্কার করে নিন।